রবিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ১১:৫৯ অপরাহ্ন
শুক্রবার সকালে ইসমাইল কুয়েতে শান্তি মিশনে কর্মরত অবস্থায় হৃতরোগে আক্রান্ত হয়ে শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন। নিহত ইসমাইল নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার বালিয়াকান্দি গ্রামের তোফায়েল আহম্মদের পুত্র।
জানা গেছে, ইসমাইল হোসেন সেনাবাহিনীর কুমিল্লা সেনানিবাসের কর্মরত ছিলেন। সেখান থেকে সরকারীভাবে ২ মাস আগে কুয়েতে শান্তি মিশনে যান। সেখানে কর্মরত অবস্থায় শুক্রবার সকালে হঠাৎ বুকে ব্যাথা উঠলে সহকর্মীরা তাকে স্থালীয় হাসপাতাল ক্যাম্পে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
খবরটি অফিসিয়ালী কুমিল্লা সেনানিবাসে আসলে সেনানিবাসের সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হুমায়ুন কবির শুক্রবার রাতে নিহতের পরিবারের সদস্যদের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, কুয়েত থেকে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবদানে ইসমাইলের মৃতদেহ দেশে আনা হবে।
নিহতের পিতা তোফায়েল আহম্মেদ বলেন, দুই মাস আগে ইসমাইল কুয়েত মিশনে যোগদেন। একমাস বয়সী নাতীর নাম রাখা হয়নি। কারণ অল্প সময়ের মধ্যে ইসমাইল মিশন থেকে এলে নাতীর আকিকা দেয়ার কথা বলে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।
উল্লেখ, মৃত্যুকালে ইসমাইল পিতা, মাতা, স্ত্রী, ৩ ভাই, ২ বোন ও ৬ বছর বয়সী আরশী এবং একমাস বয়সের পুত্র সন্তান রেখে যান।
এদিকে সেনা সদস্য ইসমাইলের মৃত্যুতে পরিবারের সদস্যদের পাশাপাশি এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
তবে কবে নাগাদ ইসমাইলের মৃত দেহ দেশে আনা হবে তা পরিবারের সদস্যরা বা সেনা বাহিনীর কমকর্তারা নিশ্চিত করতে পারেনি।
সূত্রঃ Observerbd.com