সোমবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০১৯, ১২:০০ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশে পেঁয়াজের সঙ্কট নেই। তবুও অদৃশ্য কারণে বাজারে বেড়েই চলেছে পণ্যটির দাম। এজন্য খুচরা ব্যবসায়ী ও ভোক্তারা দুষছেন অসাধু মজুতদার ও পাইকারি ব্যবসায়ীদের। আসন্ন কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে ক্রেতার পকেট কাটতেই তারা পেঁয়াজের দাম বাড়াচ্ছেন বলে অভিযোগ তাদের।
কারওয়ানবাজারে পাইকারি পেঁয়াজ বিক্রেতারা জানান, তারা প্রতিদিন শ্যামবাজার থেকে পেঁয়াজ কেনেন। সেখানেই দেশের বড় পেঁয়াজের কারবার। এখন ওই এলাকার আড়তগুলোতে ভারতের পেঁয়াজের সরবরাহ ঠিক থাকলেও দেশি পেঁয়াজের ঘাটতি রয়েছে।
এতে মজুতের কোনো প্রমাণ মেলে কিনা জানতে চাইলে আজাহার নামের এক বিক্রেতা বলেন, দেশি পেঁয়াজ অধিক সময় সংরক্ষণ সম্ভব। ফলে এখন মজুতকারীদের প্রথম পছন্দ দেশি পেঁয়াজ। এ কারণে দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ কমে গেছে। আর প্রতিদিন আড়তে দেশি পেঁয়াজের দাম বাড়ছে।
আরেক ব্যবসায়ী বলেন, শুধু বড় ব্যবসায়ী নয়, ছোট ব্যবসায়ীরাও এখন পেঁয়াজ মজুত করছেন। কারণ দেশি পেঁয়াজ মজুতের এখন উপযুক্ত সময়। এখন পেঁয়াজ মজুত করলে নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তবে ভারতের কাঁচা পেঁয়াজ এখন মজুত সম্ভব, কিছু শুকনা পদের পেঁয়াজ মজুত হচ্ছে বলে জানান এ ব্যবসায়ী।
যদিও এ বিষয়ে শ্যামবাজার কৃষিপণ্য আড়ত বণিক সমিতির সভাপতি হাজী মো. সাঈদ বলেন, খুচরা ও ফড়িয়া ব্যবসায়ীরা অযথা আড়তদারদের দোষারোপ করেন। বাজারে তারাই একে অপরের যোগসাজশে কম দামে আড়ত থেকে পণ্য কিনে বেশি দামে বিক্রি করছেন।
মো. সাঈদ দাবি করেন, শ্যামবাজারে কোনো অতিরিক্ত পেঁয়াজের মজুত নেই। যদি মজুত থাকে তবে তা কৃষকের ঘরে রয়েছে।
সরকারের বাজারদর তদারকি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন আব বাংলাদেশ টিসিবির তথ্য বলছে, গত এক মাসের ব্যবধানে দেশে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ২৩ শতাংশ। আর বছর ব্যবধানে তা ৭০ শতাংশ পর্যন্ত। গত বছর একই সময়ে দেশে পেঁয়াজের দাম ছিল ২২ থেকে ৩২ টাকা।