হাতে ব্যাট প্রথম বলে আউট হওয়ার পর সাকিব বোলিংয়ে ৪ ওভারে ৩০ রান দিয়ে নেন ১টি উইকেট। বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার সকালে শেষ হওয়া ম্যাচে গায়ানা ১২ রানে হারায় সাকিবের পুরনো দল জ্যামাইকা তালাওয়াহসকে।
এবারের আসরে ধুঁকতে থাকা গায়ানার এটি সপ্তম ম্যাচে স্রেফ দ্বিতীয় জয়। সিপিএলে আগে বারবাডোজ ট্রাইডেন্টস এবং জ্যামাইকা তালাওয়াহসে খেলা সাকিব এবার নাম লেখান গায়ানায়। যদিও শুরু থেকে ছিলেন না তিনি।
দক্ষিণ আফ্রিকার তাবরাইজ শামসি এবং হাইনরিখ ক্লাসেন দেশের হয়ে খেলতে চলে যাওয়ার পর আগে থেকেই ঠিক করে রাখা বদলি হিসেবে যোগ দেন সাকিব এবং আ’ফগানিস্তানের রহমানউল্লাহ গুরবাজ। সাকিবের মতো
গুরবাজও আউট হন প্রথম বলেই। নিজেদের মাঠে গায়নায় দ্বিতীয় ওভারে হারায় গুরবাজকে, চতুর্থ ওভারে আরেক ওপেনার চন্দ্রপল হেমরাজকে। এরপর উইকেটে যান সাকিব। কিন্তু এলবিডব্লিউ হয়ে যান তিনি পাকিস্তানের
ইমাদ ওয়াসিমের বলে। ৩৪ রানে ৪ উইকেট হারানো দলকে এগিয়ে নেন তিনে নামা শেই হোপ। আরেকপাশ থেকে তিনি সঙ্গী পাননি কাউকে। হোপ ৪৫ বলে ৬০ রান করার পরও তাই ৯৮ রানে ৭ উইকেট হারায় গা’য়ানা।
এরপরই দুর্দান্ত প্রতিআক্রমণ ওডিন স্মিথ এবং কিমো পলের। স্রেফ ২৭ বলে ৭২ রানের বি’ধ্বংসী জুটি গড়েন তারা। আটে নামা স্মিথ ১৬ বলে ৪২ রান করেন ৬টি ছক্কায়। দক্ষিণ আফ্রিকার পেসার মিগেল প্রিটোরিয়াসের এক ওভারেই মারেন ৫টি ছক্কা! ওই ওভার থেকে আসে ৩১ রান।
নয়ে নামা পল দুটি করে চার-ছক্কায় করেন ১২ বলে ২৪। ইনিংসের শেষ বলে ছক্কা মারেন জুনিয়র সিনক্লেয়ার। গায়ানা তোলে ১৭২। রান তাড়ায় ওপেনার ব্র্যান্ডন কিংয়ের সেঃঞ্চুরির পরও জ্যাঃমাইকা জিততে পারেনি।
টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরিতে ৮ চার ও ৭ ছক্কায় ৬৬ বলে ১০৪ রানের ইনিংস খেলেন কিং। কিন্তু দলের বাকি সবার ও অতিরিক্তি মিলে রান আসে আর মোটে ৬২! ওপে’নিংয়ে কেনার লুইস করেন ১৩, তিনে নামা
কার্ক ম্যাকেঞ্জি ১৫। পরের আর কোনো ব্যাটসম্যান দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেননি। নতুন বল হাতে সাকিব বোলিংয়ে আসেন দ্বিতীয় ওভারে। প্রথম বলেই তাকে সাইটস্ক্রিনে আছড়ে ফেলেন লুইস। ষষ্ঠ ওভারে আবার বোলিংয়ে এসে হজম করেন চার-ছক্কা। আবার তাকে আক্রমণে
আনা হয় ত্রয়োদশ ওভারে। এবারও তার বলে ছক্কা মারেন ব্র্যান্ডন কিং। ৩ ওভারে রান দেন তিনি ২৮। ১৬তম ওভারে এসে অবশ্য পুষিয়ে দেন কিছুটা। এবার আউট করে দেন ফ্যা’বিয়ান….) অ্যালেনকে, ওভারে রান দেন স্রেফ ২।
কিং অবশ্য চেষ্টা করে যান এরপরও। শেষ ওভারে ২০ রানের সমীকরণে প্রথম বলেই ছক্কা মেরে তিনি পূর্ণ করেন সেঞ্চুরি। কিন্তু রান আউট হয়ে যান তৃতীয় বলেই। টানা তিন বলে উইঃকেট হারিয়ে জ্যামাইকা অলআউট হয় ১৬৬ রানে।