দলের সিনিয়র দুই সদস্য অধিনায়ক বাবর আজম এবং উইকেটকিপার মোহাম্মদ রিজওয়ানকে স্বার্থপর বললেন পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদি। এমন খবরে চোখ চড়াকগাছ হবে যে কারও। কি এমন ঘটল যে, বাবর-রিজওয়ানের
বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ তুললেন তাদেরই প্রিয় পেসার শাহিন! ব্যাপারটি মোটেই তেমনটি নয়। উল্টো বাবর-রিজওয়ান জুটিকে নিয়ে পাকিস্তানে সমালোচকদের খোঁচা দিতেই এই শব্দচয়ন করেছেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। এশিয়া কাপে শিরোপা হাতছাড়া হওয়ার পর
পাকিস্তানে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েন বাবর এবং রিজওয়ান। এই দুই তারকার কম স্ট্রাইকরেট এবং পাওয়ারপ্লেতে রানের গতি কমের বিষয়টি সামনে আনা হয়। এরই সঙ্গে বাবর-রিজওয়ানের ওপেনিং জুটি টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের জন্য আদর্শ নয় বলেও মন্তব্য করেন অনেকে।
বিশ্বকাপে ওপেনিংয়ে এ জুটিকে ভেঙে নতুন কোনো পরিকল্পনার পরামর্শও আসে পাকিস্তানের সাবেক তারকাদের মধ্য থেকে। চারপাশ থেকে ধেয়ে আসে এসব সমালোচনার দাঁতভাঙা জবাব মাঠেই দেন বাবর এবং রিজওয়ান।
গত পরশু করাচিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ২০০ রানের চ্যালেঞ্জ তাড়ায় পাকিস্তান জিতেছে ১০ উইকেটে। রেকর্ডের মালা গেঁথে ২০৩ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েন বাবর এবং রিজওয়ান। বাবর ৬৬ বলে ১১০* এবং রিজওয়ান ৫১ বলে করেন ৮৮* রান। এর পরই
তাদের হয়ে আওয়াজ তোলেন চোটের দরুণ মাঠের বাইরে থাকা পাকিস্তানের তারকা পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদি। বাবর এবং রিজওয়ানের সমালোচকদের একহাত নিয়ে টুইটারে আফ্রিদি লিখেছেন, ‘আমার মনে হয়, সময় হয়েছে অধিনায়ক বাবর আজম এবং মোহাম্মদ রিজওয়ানকে
সরিয়ে দেওয়ার। এত স্বার্থপর ক্রিকেটার দুজন! ঠিকভাবে খেললে তো ম্যাচ ১৫ ওভারেই শেষ হয়ে যেত। অথচ দুজন শেষ ওভার পর্যন্ত খেলা টেনে নিয়ে গেছেন। এই নিয়ে এখন আন্দোলন করা উচিত, তাই না? যে যাই বলুক, এই পাকিস্তান দলকে নিয়ে আমি গর্বিত।’
পাকিস্তানের আরেক পেসার হাসান আলিও এক কথায় বুঝিয়ে দিয়েছেন— দলে বাবর এবং রিজওয়ানের অপরিহার্যতা। তিনি বলেছেন, ‘পাকিস্তান ক্রিকেটের রাজা বাবর এবং সুপারম্যান রিজওয়ান।’ আফ্রিদি এবং হাসানের কথায় যেন সহমত পোষণ করলেন ইংল্যান্ডের
সাবেক অধিনায়ক নাসের হুসেইন। পাকিস্তানের দুই ব্যাটিং স্তম্ভের হয়ে এই সাবেক তারকা বললেন, ‘সত্যিই যদি মনে করেন বাবর এবং রিজওয়ান পাকিস্তান দলের সমস্যা, তা হলে আপনি গত দুই বছর ক্রিকেটই দেখেননি।’