ভারতের বিশ্বকাপের প্রস্তুতি পর্ব বেশ বড় ধাক্কা খেয়েছে যশপ্রীত বুমরার চোটের পর। ভারত একের পর এক দ্বিপাক্ষিক সিরিজ হয়ত জিতছে কিন্তু এশিয়া কাপ চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে সে এখনো ভা’রতের ডেথ
বোলিংয়ে কতটা সমস্যা রয়েছে। একের পর এক বোলারকে বুমরার জায়গায় খেলানোর চেষ্টা হয়েছে কিন্তু কেউই তার মতো ধারাবাহিকভাবে ডেথ ওভারে সাফল্য দিতে পারেননি। অ’স্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সিরিজের দ্বিতীয় এবং তৃতীয় ম্যাচে ভারতীয় দলে ফিরেছিলেন বুমরা।
কিন্তু তার বোলিং দেখেই হয়তো বোঝা যাচ্ছিল যে তিনি এখনও নিজের সম্পূর্ণ ফিটনেস এবং আত্মবিশ্বাস ফিরে পাননি। নাগপুর এবং হায়দ্রাবাদ মিলিয়ে ৬ ওভার হাত ঘুরিয়ে বুমরা ৭৩ রান দিয়ে মাত্র একটি উ’ইকেট নিতে পেরেছিলেন। হয়তো সম্পূর্ণ ছন্দে ফিরতে
তার আরও কয়েকটি ম্যাচ প্রয়োজন হতো বিশ্বকাপের আগে যা তিনি পেয়ে যেতেন। কিন্তু এখন তার পিঠের চোট গোটা সমীকরণটাই বদলে দিয়েছে। এই ব্যাপারে এবার মন্তব্য করেছেন প্রাক্তন ভারতীয় নির্বাচক সাবা করিম। তিনি বলেছেন, ‘বুমরার মত বোলার
যে কোনও দলের সম্পদ। প্রথমদিকের ওভার গুলোতেও বুমরা উইকেট তুলতে পারে এবং তারপর ডেথ ওভারে বল করতে এসে ব্যাটারদের কাজ অনেক কঠিন করে তোলে। শুধু বোলিং নয় নিজের পারফরম্যান্সের মধ্যে দিয়ে দলের বাকিদেরও উদ্বুদ্ধ করার ক্ষমতা রাখে ও। ওকে বিশ্বকাপে না পাওয়াটা ভারতের পক্ষে বড়
লোকসান হবে।’ সেই সঙ্গে ভারতীয় সমর্থকদের কিছুটা আশার কথা শুনিয়েছেন তিনি। সাবা করিম আরও বলেছেন, ‘কিছুদিন আগে শেষ হওয়া এশিয়া কাপের আগে থেকেই ভারতীয় দল ছাড়াই ক্রিকেট খেলছে। বুমরাকে ছাড়াই তারা বিদেশের মাটিতে এবং দেশের মাটিতে
একাধিক ম্যাচ জিতেছে সাম্প্রতিককালে। তাই যদি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে একান্তই তারকা পেসারকে না পায় ভারত তাহলে আমি বলব যে তারা এই পরিস্থিতির সঙ্গে এতদিনে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছে।’ সেইসঙ্গে ভারতীয় দলে মহম্মদ শামিকে ফেরানো যায় কিনা সেই বিষয়েও
নিজের মতামত ব্যক্ত করেছেন সাবা। তিনি বলেছেন, ‘শুধুমাত্র অভিজ্ঞতার জন্যই এখন শামিকে দলে নিয়ে নেওয়া যেতে পারে। হ্যাঁ, এটা ঠিক যে ও হয়তো দীর্ঘদিন এই ফরম্যাটে ভারতীয় দলের হয়ে মাঠে নামেনি, কিন্তু
গত আইপিএলে ও দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেছিল। তাই আমার মতে নতুন বলে উইকেট তোলার যে ক্ষমতা শামির রয়েছে, সেটা ভারতীয় দলের খুবই কাজে লাগতে পারে।”