সময়টা একেবারেই ভালো যাচ্ছে না পাকিস্তানের। জয়-পরাজয়ের মিশেলে চলছে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ। এর উপর খেলোয়াড়দের ইনজুরিতে দিশেহারা দলটি। ইনজুরির কারণে
হাসপাতালে যেতে হয়েছে পাকিস্তানি পেসার নাসিম শাহকে। আর এবার হাসপাতালে যেতে হল হায়দার আলীকেও। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে নিজেকে প্রমাণে ব্যর্থ হয়েছেন
এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। সাত ম্যাচের সিরিজে এখন পর্যন্ত ছয় ম্যাচের মধ্যে খেলেছেন পাঁচটিতে। সেখানে ৪ ম্যাচে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়ে করেছেন মাত্র ৩৬ রান। লাহোরে
সিরিজের শেষ ম্যাচে হয়তো আরেকটা সুযোগ পেলেও পেতে পারতেন হায়দার আলী। তবে সে সুযোগ আসার আগেই ভাইরাস সংক্রমণজনিত অসুস্থতার জন্য হাসপাতালে যেতে হলো এই ব্যাটসম্যানকে। তাকে নিয়েই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের
স্কোয়াড গড়েছে পাকিস্তান। হায়দারের অসুস্থতা নিশ্চিতভাবেই চিন্তায় ফেলবে পাকিস্তানের টিম ম্যানেজমেন্টকে। ১৬ অক্টোবর অস্ট্রেলিয়ায় শুরু হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। শুক্রবার ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ব্যাট হাতে
ফর্মে ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন হায়দার। ৮.৪ ওভারে স্যাম কারেনের শর্ট বলের ফাঁদে ধরা পড়ার আগে করেন ১৪ বলে ১৮ রান। আউট হয়ে ড্রেসিংরুমে ফেরার পর থেকেই অস্বস্তি বোধ করতে থাকেন। হায়দারের
পরিবর্তে একজন বদলি ফিল্ডারও নামানো হয় সে ম্যাচে। চলতি সিরিজে পাকিস্তানের দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে হাসপাতালে ছুটতে হলো হায়দারকে। এর আগে ফাস্ট বোলার নাসিম শাহকে অসুস্থতার জন্য হাসপাতালে যেতে হয়েছে। প্রথমে জানা যায়,
নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন নাসিম। পরে জানা যায়, পাকিস্তান ফাস্ট বোলার আক্রান্ত হয়েছেন করোনাভাইরাসেও। নাসিমকে অবশ্য বৃহস্পতিবারই হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।