অস্ট্রেলিয়ায় আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভাল করতে পারে-এমন পাঁচ ক্রিকেটারকে বেছে নিয়েছে ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। তাদের নজরে রাখবে
ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। এ তালিকায় প্রথমেই রয়েছে অস্ট্রেলিয়ান তারকা ডেভিড ওয়ার্নারের নাম। গত আসরে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান করেছেন ওয়ার্নার। শীর্ষে ছিলেন পাকিস্তানের
অধিনায়ক বাবর আজম। ৭ ম্যাচে ২৮৯ রান করা ওয়ার্নাারের স্ট্রাইক রেট ছিলো ১৪৭ -এর কাছাকাছি। সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত গত বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার শিরোপা জয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে ওয়ার্নার।
ওয়ানডে ফর্মেটে পাঁচ বার চ্যাম্পিয়ন হলেও গত বছর প্রথমবারের মত সংক্ষিপ্ত ভার্সনের শিরোপা জেতে অস্ট্রেলিয়া। ঘরের মাঠে সবসময় দারুণ ছন্দে থাকেন ওয়ার্নার। এবার ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ হওয়ায় অস্ট্রেলিয়ার বড় অস্ত্র হয়ে উঠবেন তিনি।
শ্রীলংকার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গাকে রাখা হয়েছে তালিকার দুই নম্বরে। বড় মঞ্চে জ্বলে উঠার প্রমাণ ইতোমধ্যে দিয়েছেন ডি সিলভা। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে অনুষ্ঠেয় আগামী বিশ্বকাপে আধিপত্য বিস্তার করবেন হাসারাঙ্গা। গত বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি ছিলেন হাসরাঙ্গা। ৮ ম্যাচে ১৬ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি।
গেল মাসে শেষ হওয়া এশিয়া কাপেও নিজের সামর্থ্যের প্রমান দিয়েছেন হাসারাঙ্গা। ব্যাট হাতে ৬৬ রান ও ৯ উইকেট নিয়ে টুর্নামেন্ট সেরার খেতাব পান তিনি। শ্রীলংকার এশিয়া কাপ জয়ের নায়ক হিসেবে সামনের সারিতে নাম আছে হাসারাঙ্গার।
অস্ট্রেলিয়ার বড় মাঠে বাড়তি সুবিধা পাবেন ২৫ বছর বয়সী হাসারাঙ্গা। তাই এ বছরও সর্বোচ্চ উইকেট শিকারের দৌঁড়ে থাকবেন তিনি। ইংল্যান্ড জস বাটলার আছেন তালিকার তিনে। বর্তমানে ইনজুরির সাথে লড়াই করছেন ইংল্যান্ডের এ অধিনায়ক। বিশ্বকাপের আগে বাটলারের সুস্থতার অপেক্ষায় আছেন ২০১০ সালে শিরোপা জয় করা ইংল্যান্ড।
গত ১২ মাসে বাটলারের চেয়ে ভালো ফর্মে ছিলো না আর কোন ব্যাটার। গত আসরের একমাত্র সেঞ্চুরিয়ান বাটলার। শ্রীলংকার বিপক্ষে শারজাহতে অপরাজিত ১০১ রান করেন বাটলার।
আর এ বছর আইপিএলে ব্যাট হাতে রাজকীয় ফর্মে ছিলেন বাটলার। এক আসরে চারটি সেঞ্চুরি করেন তিনি। রাজস্থান রয়ল্যাসের হয়ে ৮৬৩ রান করেছিলেন তিনি।
গত জুলাইয়ে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ঘরের মাঠে হওয়া সিরিজে ছন্দে ছিলেন না বাটলার। তবে অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপ দিয়ে আবারো চেনা রূপে বাটলার ফিরবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
তালিকার চতুর্থ অবস্থানে রয়েছেন ভারতের সূর্যকুমার যাদব। চলতি বছর সূর্যকুমার যাদবের উত্থান চোখে পড়ার মত ছিল। দুর্দান্ত ফর্মে আছেন তিনি। এ বছর এখন পর্যন্ত টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ রান তার। বিশ্বকাপে ভারতের তরুপের তাস হবেন সূর্য।
গত বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের হয়ে মাত্র চারটি ম্যাচ খেলেছিলেন সূর্য। ব্যাট হাতে মাত্র ৪২ রান করেছিলেন তিনি। ঐ আসরে নিজের সেরাটা দিতে পারেননি সূর্য।
ঐ বিশ্বকাপের পর থেকে ধারাবাহিক ৩২ বছর বয়সী সূর্য। এ বছরের সর্বোচ্চ রানের মালিক তিনি। ফলে আইসিসি টি-টোয়েন্টি র্যাংকিংয়ের দ্বিতীয়স্থানে উঠে এসেছেন তিনি। পাকিস্তান মোহাম্মদ রিজওয়ানকে
রাখা হয়েছে পঞ্চম অবস্থানে। গত বছর থেকে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে সবচেয়ে ধারাবাহিক ব্যাটার পাকিস্তানের মোহাম্মদ রিজওয়ান। গেল বছর ২৯ ম্যাচে ১৩২৬ রান করেছিলেন তিনি। এ বছর ধারাবাহিকতা ধরে রেখে
আইসিসি র্যাংকিংয়ের শীর্ষ ব্যাটার রিজওয়ান। পাকিস্তানের শিরোপা জয় অনেকাংশেই নির্ভর করবে টপ-অর্ডারে রিজওয়ানের ব্যাটিংয়ের ওপর। গেল আসরেও বিশ্বকাপে দারুণ পারফরমেন্স প্রদর্শন করেছেন তিনি। গেল বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তিনটি হাফ-সেঞ্চুরিতে ৭০ গড়ে ২৮১ রান করেন
রিজওয়ান। তার চেয়ে বেশি রান করেছিলেন ওয়ার্নার ও সতীর্থ বাবর। আইসিসির নজরে থাকা পাঁচ ক্রিকেটার থাকলেও সে তালিকায় নেই কোন বাংলাদেশী , দুঃখ জনক হলেও সত্য বাংলাদেশের সাকিব আল হাসান নেই ।