সিরিজ নির্ধারণী শেষ ম্যাচে পাকিস্তানকে ৬৭ রানে হারাল ইংল্যান্ড। ১৭ বছর পর পাকিস্তানে এসে ঐতিহাসিক সিরিজটি জিতে গেল ইংলিশরা। এশিয়া কাপের ফাইনালে বড় ব্যবধানে
হারার পর সিরিজ নির্ধারণী আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে লড়াই করতে পারল না বাবর আজমের দল। বিশ্বকাপের আগে যা নিঃসন্দেহে বাবরদের দুশ্চিন্তা হয়েই থাকবে।
আগে ব্যাট করে ডেভিড ম্যালান ও হ্যারি ব্রুকের দুর্দান্ত ইনিংসে ৩ উইকেটে ২০৯ রান করে ইংল্যান্ড। তাড়া করতে নেমে পাকিস্তান থেমে গেছে ৮ উইকেটে ১৪২ রান তুলেই। লাহোরে সিরিজ
নির্ধারণী শেষ ম্যাচে টসে জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম। আগের ম্যাচে বিশ্রামে থাকলেও চলতি সিরিজে দলের সেরা বোলার হারিস রউফ ও সেরা ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ রিজওয়ানকে
নিয়েই একাদশ সাজিয়েছিল পাকিস্তান। টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের প্রথম ওভার থেকেই চড়াও হন ফিল সল্ট ও অ্যালেক্স হেলস। ৪ ওভার ১ বলে ৩৯ রানে হেলস যখন ফেরেন ততক্ষণে ইংল্যান্ড ভালো শুরু
পেয়ে গেছে। মোহাম্মদ হাসনাইনের বলে এলবিডব্লু হওয়ার আগে ১৩ বলে ১৮ রান করেন হেলস। গত ম্যাচে ৮৮ রানে অপরাজিত থাকা সল্ট ২০ রান করে ফেরেন রান আউটের ফাঁদে পড়ে।
তিন নম্বরে নামা ডেভিড ম্যালান শুরুতে বেন ডাকেটকে সঙ্গে নিয়ে ৩১ বলে ৬২ রানের জুটি। ডাকেট ৩০ রানে রান আউট হয়ে ফিরলে চতুর্থ উইকেটে ম্যালান-ব্রুক গড়েন ৬১ বলে ১০৮ রানের জুটি। মূলত
শেষ ১০ ওভারে এই দুই ব্যাটসম্যানের ঝড় ও পাকিস্তানের বাজে ফিল্ডিং বাবর-রিজওয়ানদের জন্য ম্যাচটা কঠিন করেছে। ৮ চার ও ৩ ছক্কায় ম্যালান অপরাজিত থাকেন ৭৮ রানে। হ্যারি ব্রুক ২৯ বলে করেন অপরাজিত ৪৬ রান। ২১০ রানের লক্ষ্যে
ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তানের দুই ওপেনার ফেরেন ৮ বলের মধ্যে। গত ম্যাচে বড় ইনিংস খেলা বাবর ক্রিস ওকসের বলে শর্ট কাভারে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন প্রথম ওভারেই। এক সিরিজে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়া রিজওয়ানও এদিন
ফেরেন শুরুতেই, ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই রিস টপলির শিকার হয়ে। বাবর-রিজওয়ান দ্রুত আউট হওয়ায় ম্যাচ থেকে অনেকটাই ছিটকে যায় পাকিস্তান। খুশদিল শাহ ও শান মাসুদ পাকিস্তানকে পথ দেখানোর চেষ্টা করেন। তবে তাদের ৪৩ বলে ৫৩ রানের
জুটি ২১০ রানের লক্ষ্যে যথেষ্ট ছিল না। ব্যাট হাতে ব্যর্থ ছিলেন আসিফ আলীও। শান মাসুন অর্ধশতক করেছেন ঠিকই কিন্তু এতে পাকিস্তানের বড় হার এড়ানো যায়নি।