সিরিজ নির্ধারণী শেষ ম্যাচে পাকিস্তানকে ৬৭ রানে হারাল ইংল্যান্ড। ১৭ বছর পর পাকিস্তানে এসে ঐতিহাসিক সিরিজটি জিতে গেল ইংলিশরা। এশিয়া কাপের ফাইনালে বড় ব্যবধানে হারার
পর সিরিজ নির্ধারণী আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে লড়াই করতে পারল না বাবর আজমের দল। বিশ্বকাপের আগে যা নিঃসন্দেহে বাবরদের দুশ্চিন্তা হয়েই থাকবে। সিরিজের সর্বোচ্চ রান পাকিস্তান
ওপেনার মোহাম্মদ রিজওয়ানের-৭ ইনিংসে ৪ ফিফটিসহ ৩১৬ রান। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান পাকিস্তানের আরেক ওপেনার বাবর আজমের-একটি করে সেঞ্চুরি ও ফিফটিতে ২৮৫ রান।
সর্বোচ্চ রানের তালিকায় পাকিস্তানের দুই ওপেনার থাকলেও ৭ ম্যাচের সিরিজ শেষে জয়ী দলটির নাম ইংল্যান্ড। শেষ দুই ম্যাচে টানা জিতে সাত ম্যাচের সিরিজ ৪-৩ ব্যবধানে জিতেছে মঈন আলীর দল।
এশিয়া কাপে পাকিস্তানের মিডল অর্ডার নিয়ে যে প্রশ্ন উঠেছিল, তার সমাধান হয়নি ইংল্যান্ড সিরিজেও। আবারও ব্যর্থ ইফতিখার-খুশদিলরা। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে এটাই পাকিস্তান অধিনায়ক বাবরের সবচেয়ে বড় দুশ্চিন্তা।
ইংল্যান্ডের কাছে কাল সিরিজ হারার পর বাবর বুঝতে পেরেছেন মূল সমস্যা কোথায়। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে পাকিস্তান অধিনায়ক বলেছেন, ‘আমাদের মিডল অর্ডার নিয়ে আরও কাজ
করতে হবে। মিডল অর্ডারের চাপটা আমার আর রিজওয়ানের ওপরও পড়ে। এ নিয়ে কোচদের সঙ্গে কথা হচ্ছে, আরো কথা হবে।’বড় লক্ষ্য তাড়ায় প্রথম দুই ওভারে দুই ওপেনারকে হারায়
পাকিস্তান। শুরুর ওই চাপ থেকে মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানরা আর দলকে বের করে আনতে পারেনি। পুরো ২০ ওভার ব্যাটিং করেও থমকে যেতে হয় ৮ উইকেটে ১৪২ রানে। ৩৩ রানে তৃতীয়
উইকেট পতনের পর শান মাসুদ ও খুশদীল শাহ চতুর্থ উইকেট জুটিতে ৪৩ বলে তোলেন ৫৩ রান; যদিও জয়ের জন্য দরকার তখন ওভারপ্রতি ১২-১৩ রান করে। শেষ পর্যন্ত শান মাসুদ ৪৩ বলে ৫৬ আর খুশদীল ২৫ বলে ২৭ রান করে
আউট হয়েছেন। শুধু শেষ ম্যাচেই নয়, সিরিজজুড়ে রান তুলতে হিমশিম খেয়েছে পাকিস্তানের মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানরা। তিনে নামা শান মাসুদ ৬ ইনিংসে করেছেন ১৫৬, ইফতিখার আহমেদের রান ৫ ইনিংসে ৯৯ আর খুশদীল শাহ ৪ ইনিংসে ৬৩ রান করেছেন।
মিডল অর্ডারের এই ব্যাটিংয়ে চোখ বুলিয়েই বাবর বললেন, ‘এই সিরিজ আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল। টি-টোয়েন্টি সংস্করণে আমাদের আরও উন্নতি করতে হবে।’ সপ্তাহ তিনেক পরে
অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে নামবে পাকিস্তান। এর আগে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে একটি ত্রিদেশীয় সিরিজও খেলবেন বাবররা, যেখানে তৃতীয় দলটি বাংলাদেশ। ইংল্যান্ডের
বিপক্ষে ম্যাচ শেষেই নিউজিল্যান্ডের উদ্দেশে যাত্রা করে গেছে পাকিস্তান দল। ৭ অক্টোবর প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ। এই সিরিজে হয়তো মিডল অর্ডার ব্যাটিংটা ঠিক করে নেওয়ার দিকেই বেশি নজর দেবে পাকিস্তান।