নাজমুল হাসান পাপন ২০১৩ সালে বিসিবি সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর, সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল আঞ্চলিক ক্রিকেট কাঠামো গড়ে তোলা। অনেক পরিবর্তনের পরও ঘরোয়া ক্রিকেটের এই শক্তিশালী কাঠামো বাস্তবায়ন করা সম্ভব হচ্ছিলো না
ক্রিকেটের এই শক্তিশালী কাঠামো। এর সবচেয়ে সমস্যা ছিল সংবিধান। যার জন্য গত দুই মেয়াদে মহাপরিকল্পনা থমকে গিয়েছিল শুধু আশ্বাসে। তবে খুশির খবর হলো অবশেষে এই অচলাবস্থা কেটেছে।
দীর্ঘ নয় বছরের প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে বিসিবির আঞ্চলিক ক্রিকেট কাঠামো গঠনের আনুষ্ঠানিক অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রীড়া পরিষদ। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিসিবির প্রধান নির্বাহী
নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন। তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি আমরা (বিসিবি) এজিএমে আসা সংশোধনীসহ তা জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে পাঠিয়েছি। পরে তা অনুমোদিত হয়। এখন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের গঠনতন্ত্র ২০২২ সাল থেকে কার্যকর হবে।’
শিগগিরই আটটি বিভাগে কমিটি গঠন করা হবে। প্রধান বিভাগে ১৭ জন সদস্য এবং ছোট বিভাগে ১১ জন সদস্য থাকবে। প্রতিটি বিভাগে অফিস নির্মাণ করা হবে। সুজন বলেন, আঞ্চলিক ক্রিকেট সংস্থার
নীতিমালার খসড়া অনুমোদন করা হয়েছে। খুব শিগগিরই আমাদের কমিটি করা হচ্ছে। এই কমিটি প্রয়োজনে এই নীতিতে আরও কোনো সংশোধন করবে। এবং শীঘ্রই আমাদের আঞ্চলিক কমিটি গঠন করা হবে। সুজন আরও বলেন, ‘একটি বড়ি
থাকবে। সেখানে সভাপতি, সহ-সভাপতিসহ মানসম্মত অনুশীলন একই থাকবে, সদস্য থাকবে। বিভাগ ভেদে এর সংখ্যা কম বা বেশি হতে পারে। বড় বিভাগে বেশি সংখ্যা থাকবে এবং ছোট বিভাগে কম নম্বর থাকবে। তা ছাড়া, আমরা সবসময় বলেছি, সেখানে একটি মিনি বিসিবি রাখার পরিকল্পনা রয়েছে।’