ব্যাট হাতে চলতি বছরটা স্বপ্নের মতোই কাটাচ্ছিলেন জনি বেয়ারস্টো। ছিটকে পড়ার আগ পর্যন্ত ছিলেন বর্ষসেরা রান সংগ্রাহকের দৌড়ে। কিন্তু সবকিছু হঠাৎ করেই যেন বদলে দিলো পায়ের ইনজুরি। ভয়াবহ চোটে থাকতে পারেননি পাকিস্তান
সিরিজ ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে। তাতে পরিস্থিতির যে খুব বেশি উন্নতি হয়েছে তা নয়। অস্ত্রোপচার হয়ে যাওয়ার পরও দুই পায়ে ঠিকভাবে দাঁড়াতে পারবেন কিনা তা নিয়ে চিন্তায় আছেন ইংল্যান্ডের এই আগ্রাসী ব্যাটার।
মাসখানেক আগে গলফ কোর্সে পা পিছলে ইনজুরিতে পড়েন বেয়ারস্টো। ইনজুরির গভীরতা দেখে ডাক্তাররা বলেছিলেন, শুধু টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নয়, এ বছরই আর মাঠে নামতে
পারবেন না তিনি। তখন অনেকেই আন্দাজ করেছিলেন, গুরুতর চোট পেয়েছেন। সোমবার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেয়ারস্টো নিজেই জানিয়েছেন, সেই চোট কতটা ভয়াবহ
এবং নিজের সর্বশেষ অবস্থা। সামান্য অসাবধানতায় বেয়ারস্টোর পায়ের হাড় ভেঙেছে তিন জায়গায়। এছাড়া পায়ের গোড়ালিও সরে গেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে ভাঙা পায়ের ছবি পোস্ট
করেছেন তিনি নিজেই। জানিয়েছেন, সফলভাবে অস্ত্রোপচার হয়েছে। তবে অপারেশনের তিন সপ্তাহ কেটে গেলেও কবে হাঁটতে পারবেন সে ব্যাপারে এখনও অনিশ্চিত তিনি।
ক্যাপশনে বেয়ারস্টো লিখেছেন, ‘আমার পায়ের হাড় তিন জায়গায় ভেঙে গিয়েছিল, সে জন্য পায়ে প্লেট বসাতে হয়েছে। গোড়ালিও স্থানচ্যুত হয়েছিল। তবে ইতিবাচক দিক হচ্ছে, অস্ত্রোপচার সফল হয়েছে। তিন সপ্তাহ পার করে ফেলেছি। আগামী
কয়েক সপ্তাহ কিংবা মাস সুস্থ হয়ে ওঠার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’তিনি আরও যোগ করেন, ‘কবে মাঠে ফিরব, এ মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না। আপাতত দুই পায়ে ঠিকঠাকভাবে দাঁড়ানোর কথা ভাবছি। এটা নিশ্চিত যে ২০২২ সালে আর ফিরতে পারব না। দুঃসময়ে সমর্থন দেওয়ার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ।’