বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সর্বকালের সেরা অধিনায়ক, অনেকের কাছে অনুপ্রেরণার আরেক নাম মাশরাফি বিন মুর্তজা। বারবার ফিরে এসেছেন ইনজুরিকে পেছনে ফেলে। বাংলাদেশের ক্রিকেটের অনেক বড় বড় সাফল্যও এসেছে তার
হাত ধরে।মাশরাফি শুধু নাত্র একজন ক্রিকেটার না তিনি একজন অনন্য নেতাও, বর্তমানে তিনি একজন সংসদ সদস্যও। আজ সোমবার মাশরাফি এসেছিলেন ইউনিভার্সিটি অফ লিবারেল আর্টসের (ইউল্যাব) সমাবর্তনে। সেখানে
তিনি শুনিয়েছেন নিজের ফিরে আসার গল্প, দিয়েছেন অনুপ্রেরণা। মেহনত করার বার্তাও দিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের অন্যতম আলোচিত এই মানুষটি। মাশরাফির সেই বক্তব্যের অংশটি আমরা আপনাদের জন্য তুলে
ধরলাম…এ সময় মাশরাফি বলেন, ‘আমি আমার জীবনের দুটি বিষয় হয়তো বলতে পারি। আমি খুব ছোট জেলা থেকে এসেছি। যখন ক্রিকেট খেলা শুরু করি। আমি অনূর্ধ্ব-১৭, অনূর্ধ্ব-১০ ১৯ ও ‘এ’ দল হয়ে জাতীয় দলের হয়ে এসেছি।
আমরা নড়াইলে যখন ছিলাম, ওই ফ্যাসিলিটিজ ছিল না। এত বেশি কোচ ছিল না, ফিটনেস ট্রেনার ছিল না। কিন্তু আমার কাছে মনে হয়েছে আমি খুব উপভোগ করেছি। আমি খুব অল্প বয়সে বুঝতে পেরেছিলাম, ক্রিকেটটা পছন্দ করি,
খেলতে চাই।তিনি আরও বলেন, ‘জীবনের কঠিন সময় যখন এলো, আমার ইনজুরি। যখন অপারেশন হলো। ২০০১ সালে ভারতে গেলাম। তখন ৪টা টেস্ট খেলেছি, তিনটি ওয়ানডে খেলেছি। হসমত হসপাতাল নাম, ডাক্তার থমাস চেন্ডি।
আমি পায়ে ব্যথা পেলাম, উনি বলল দেখে দিচ্ছি। পরে এমআরআই করালো। পরের দিন সকালে বলল যে তোমার লিগামেন্ট টোন হয়েছে। তোমার অপারেশন করাতে হবে এবং এক বছর খেলার বাইরে থাকতে হবে।মাশরাফি
বলেন, আমি একা গিয়েছিলাম। ঢাকায়ই কম এসেছি, ভারতে গিয়েছিলাম। আমার কাছে মনে হয়েছিল আকাশটা আমার মাথায় ভেঙে পড়েছে। এরপর ওখান থেকে ফিরে ২০০৮ সাল পর্যন্ত ভালোভাবে খেলেছি। পরের তিন বছরে আবার চারটা ইনজুরি।
সেখান থেকে ফিরে এসে ১৪৪ থেকে ১২০ কিলোমিটারে বল করা। ওটাকে ম্যানেজ করা, সাতটা অপারেশন করা।মাশরাফি আরও বলেন, তবে সবকিছুর পরও আমি যখন মাঠে নামতাম, বুঝতাম কী করি। আমি বাংলাদেশের জন্য
খেলছি, এর চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ আর কিছু ছিল না। তখন আমি আসলে…আমি জানি ওই দিনগুলো কেমন গেছে। স্পোর্টসে সার্জারির চেয়েও রিহ্যাবিশন প্রক্রিয়াটা কঠিন। আমি বিশ্বাস করি আমার চাওয়া, ডেডিকেশন, স্পোর্টস নিয়ে ফোকাস
আমাকে এগিয়ে নিয়ে গেছে। সেটার কারণে ২০১৫ সালে এসে অধিনায়কত্ব পেয়েছি।মাশরাফি বলেন, ‘আমি এটাই বুঝাতে চাচ্ছি ২০ বছরের ক্যারিয়ারে আরও অনেক বেশি কিছু করতে পারতাম হয়তো। আমি সুস্থ থাকলে
তিনশ উইকেট পেতাম টেস্টে, ওয়ানডেতে আরও বেশি পেতাম। কিন্তু এটা নিয়ে আমার কোনো কষ্ট নাই। কারণ আমি জানি চেষ্টা করেছি। এজন্য খারাপ লাগে না। আল্লাহ সবাইকে সুযোগ দেয়, এগুলো নেওয়া খুব জরুরি।’