ত্রিদেশীয় সিরিজে পাকিস্তানের বিপক্ষে সবচেয়ে মিতব্যয়ী ছিলেন তাসকিন আহমেদ। ৪ ওভারে দিয়েছেন ২৫ রান, উইকেট ২টি। তার বলে রান করতে বেশ কষ্ট হয়েছে পাকিস্তানি ব্যাটারদের। বাঁ-হাতি স্পিনার নাসুম আহমেদ (৪ ওভারে
১/২২) দারুণ নিয়ন্ত্রিত ও সমীহ জাগানো বোলিং করেছেন। দুই অফস্পিনার মেহেদি হাসান মিরাজ (২ ওভারে ১/১২) আর মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত (২ ওভারে ০/১৭) বেশ নিয়ন্ত্রিত বোলিং করেছেন। সেই ম্যাচে দুই পেসার মোস্তাফিজ
আর হাসান মাহমুদ ছাড়া তাসকিন (ওভার পিছু ৬.২৫), নাসুম আহমেদ (ওভার পিছু ৫.৫০), মেহেদি হাসান মিরাজ (ওভার পিছু ৬.০০) আর মোসাদ্দেক (ওভার প্রতি ৮.৫০)
কেউই ওভার প্রতি সাড়ে ৮ রানের বেশি দেননি।সেখানে মোস্তাফিজ না পেরেছেন ব্রেক থ্রু এনে দিতে, না রানের গতি কমিয়ে রাখতে। তার বলে ধারও ছিল না একদম। নির্বিষ বোলিং যাকে বলে।
সেই ‘কাটার’ও যেন হারিয়ে গেছে। স্লোয়ার চোখে পড়ে না। ইয়র্কার নেই বললেই চলে। সুইং তো নেই’ই। সব মিলিয়ে সাদামাটা বোলিং। বাঁ-হাতি পেসারের কৌণিক ডেলিভারিই ভরসা। এটুকু নিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এক নম্বর স্ট্রাইকবোলার
হিসেবে টিকে থাকা কঠিন। মোস্তাফিজের বোলিং কার্যকরিতা নিয়ে নানা প্রশ্নও দেখা দিয়েছে। তিনি কি আসলে এখন আর অটোমেটিক চয়েজ? তাকে কি বিশ্রাম দিয়ে অন্য কাউকে ট্রাই করানো যায় না? এমন প্রশ্ন ছুঁড়ে দেয়া হয়েছিল অন্যতম নির্বাচক হাবিবুল বাশারকেও।
জাতীয় দলের এ সাবেক অধিনায়ক অবশ্য এখনো আশা ছাড়েননি। বাশারের বক্তব্য, ‘দেখুন মোস্তাফিজকে নিয়ে এর আগেও একই প্রশ্নে আমরা বলেছি যে, সে আমাদের খুব গুরুত্বপূর্ণ একজন খেলোয়াড়। ওর সেরা ছন্দে থাকার ওপর আমাদের দলের পারফরম্যান্সটা
নির্ভর করে। সাম্প্রতিক সময়ে হয়তো ওর সেরা পারফরম্যান্সটা পাচ্ছি না। আমরা এখনো বিশ্বাস করি মোস্তাফিজই টি-টোয়েন্টি সংস্করণে আমাদের সেরা বোলার। তাই বিশ্বকাপে ওর পারফরম্যান্সটা গুরুত্বপূর্ণ হবে।’
তবে বাশার স্বীকার করেছেন তারা চিন্তিত। ‘হ্যাঁ আমরা চিন্তিত। তবে আশায় আছি আমরা যখন বিশ্বকাপের মূল পর্বে যাব, তখন মোস্তাফিজ ওর সেরা পারফর্মটা ফিরে পাবে।’