নারী এশিয়া কাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটাকে দলের অনভিজ্ঞরা চাপের মুখে কেমন করেন, সেটিরই পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য কাজে লাগিয়েছে ভারতীয় দল। তাতে ফল ভালো হয়নি। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর
কাছে ১৩ রানে হেরে এবারের নারী এশিয়া কাপে প্রথম হারের স্বাদটা আজই পেল ভারত। আগে ব্যাট করে পাকিস্তান ৬ উইকেটে ১৩৭ রান করে। ভারতের ব্যাটারদের জন্য যা সহজ স্কোরই মনে হচ্ছিল।
কিন্তু পাকিস্তানের বোলিং ও ফিল্ডিং ম্যাচের ছবিটাই পাল্টে দেয়। ভারত নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে, যার মধ্যে সাতটিই ছিল ক্যাচ। বাড়ন্ত রানরেটে লাগাম টানতে ছক্কা মারার চেষ্টায় ভারতীয়রা সীমানা ছাড়াতে পারছিল না।
ওপেনার সাব্বিনেনি মেঘানার ১টি ছক্কার পর ভারতীয় ইনিংসের বাকি ৩ ছক্কাই আসে রিচা ঘোষের ব্যাট থেকে। ৮ উইকেট পতনের পরও তার ১৩ বলে ২৬ রানের ইনিংসটি ভারতের আশা শেষ ওভার
পর্যন্ত জিইয়ে রেখেছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ইনিংসের ২ বল বাকি থাকতে ভারত অলআউট হয় ১২৪ রানে। সাদিয়া ইকবাল, নিদা দার ২টি করে উইকেট নিয়েছেন। নাশরা সান্ধু সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নিয়েছেন।
ম্যাচসেরার পুরস্কারটা অবশ্য নিদা দারেরই। বোলিংয়ে ২ উইকেট নেওয়ার আগে ব্যাট হাতে তিনি খেলেছেন ম্যাচের মোড় পাল্টে দেওয়া ইনিংসটি। মন্থর গতিতে এগোতে থাকা পাকিস্তানের ইনিংসে
গতি আনে তার ৩৭ বলে ৫৭ রান। ৫ চার ও ১ ছক্কার সাজানো ইনিংসটিই পাকিস্তানের রানটাকে ১৩৭ রানে নিয়ে যায়। বাকি ব্যাটারদের মধ্যে ৩২ রান করেছেন অধিনায়ক বিসমাহ মারুফ। ম্যাচ শেষে
ভারতীয় নারী দলের কোচ রমেশ পাওয়ার বলছিলেন, ‘আমরা নিয়মিত যাদের দিয়ে রান তাড়া করাই, তাদের নিয়ে চেষ্টা করিনি। নতুন কেউ যেন দায়িত্ব নিতে পারে, এটা চেয়েছি। কারণ, এটা আমাদের ৪ নম্বর ম্যাচ। আমরা পূজা, রিচা,
রাধা, হেমলতাদের সুযোগ দিতে চেয়েছি; তারা তরুণ খেলোয়াড়। হারমান, জেমি, স্মৃতিরা অনেক দিন থেকেই এমন চাপ সামলাচ্ছে। বাকিরা কেমন করে, সেটা দেখতে চেয়েছি। আমরা এটা এশিয়া কাপে করেছি। কারণ, বিশ্বকাপের আগে হাতে খুব বেশি ম্যাচ নেই।’