নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ত্রিদেশীয় সিরিজের ম্যাচে বাংলাদেশের তিন পরিবর্তনের একটি ছিল শান্তর ফেরা। ওপেনিংয়ে ব্যর্থ সাব্বির রহমানকে বাইরে রেখে এই ম্যাচে মেহেদী হাসান মিরাজের
উদ্বোধনী জুটির সঙ্গী করা হয় শান্তকে। শুরুটা তিনি খারাপ করেননি। আবার ২৯ বলে ৩৩ রানের ইনিংস টি-টোয়েন্টিতে খুব আদর্শ কিছুও নয়। একাদশে ফেরার ম্যাচে এই ইনিংস খেলেই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ স্কোরার
নাজমুল হোসেন শান্ত। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে দলের প্রতিনিধিও তিনিই। ম্যাচের ময়নাতদন্তে অবশ্য নিজের দায়টুকু নিলেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। দ্বিতীয় ওভারে মিরাজকে
হারানোর পর শান্ত ও লিটন দ্বিতীয় উইকেটে জুটি গড়েন ৪১ রানে। রানের গতি যদিও খুব ভালো ছিল না। এরপর ২৫ রানের মধ্যে ৪ উইকেট হারিয়ে আরও বিপাকে পড়ে যায় বাংলাদেশ। সংবাদ সম্মেলনে
নিজেদের ব্যর্থতার পাশাপাশি উইকেটের দিকটিও তুলে ধরলেন শান্ত, “ভালো একটা শুরু হয়েছিল। আমরা যদি জুটি গড়তে পারতাম, ব্যাটিংটা তাহলে আরও ভালোভাবে উপভোগ করতে পারতাম ও দলের জন্যও ভালো হতো।”
“মাঝের ওভারে আমরা ব্যাক টু ব্যাক উইকেট দিয়েছি। সত্যি কথা বলতে, প্রথম ইনিংসে উইকেট এতটা সহজও ছিল না। ওই জায়গায় আমরা আরেকটু স্মার্ট ক্রিকেট খেললে আরেকটু বড় স্কোর
হতে পারত। মাঝের ওভারগুলোয় আমরা আরও ভালো ব্যাট করতে পারতাম।”“যেহেতু আমি সেট ছিলাম, ওখান থেকে লম্বা সময় টেনে নিতে পারলে দলের জন্য ভালো হতো। ওটাই চাওয়া থাকবে,
সামনের ম্যাচে আবার সুযোগ এলে, যত লম্বা করা যায়।” দুই ম্যাচে হেরে যাওয়ার পর প্রাথমিক পর্বে আর দুটি ম্যাচ বাকি আছে বাংলাদেশের। আগামী বুধ ও বৃহস্পতিবার ম্যাচ দুটি শুরু হবে নিউ জিল্যান্ড সময় দুপুর ৩টায়।