ত্রিদেশীয় সিরিজে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আগে ব্যাট করে ৮ উইকেটে ১৩৭ রান করেছে বাংলাদেশ। শেষদিকে ১২ বলে ২৫ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেছেন নুরুল হাসান সোহান। বাংলাদেশের ইনিংসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ
ইনিংসটি এসেছে আফিফ হোসেন ধ্রুবর ব্যাট থেকে। তিনি করেছেন ২৪ রান।এদিন বাংলাদেশকে ভালো শুরু এনে দিতে পারেননি মেহেদী হাসান মিরাজ ও নাজমুল হোসেন শান্ত। দলীয় ১২ রানেই বাংলাদেশ মিরাজের উইকেট হারায়। তিনি টিম
সাউদির বলে মিড উইকেটে অ্যাডাম মিলনের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন মাত্র ৫ রান করে। এরপর ব্যক্তিগত শূন্যরানেই জীবন পেয়েছেন লিটন দাস। তিনি ট্রেন্ট বোল্টের বলে
পয়েন্ট দিয়ে উড়িয়ে মারতে চেয়েছিলেন। যদিও দারুণ প্রচেষ্টায় সেই ক্যাচ প্রায় লুফে নিয়েছিলেন জিমি নিশাম। তবে শরীরের ভারসাম্য সামলাতে না পেরে ক্যাচ ফসকান
তিনি। অন্যপ্রান্তে সাবলীল ব্যাটিং করেছেন শান্ত। একের পর এক চারে স্ট্রাইক রোটেড করে বাংলাদেশের রানের চাকা সচল রাখেন তিনি। পাওয়ার প্লেতে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল এক উইকেট হারিয়ে ৪১ রান। পাওয়ার প্লের পর অবশ্য ইনিংস বড় করতে
পারেননি লিটন। তিনি ১৬ বলে ১৫ রান করে মিচেল ব্রেসওয়েলের বলে তাকেই শার্প ক্যাচ দিয়েছেন। এরপর শান্ত ব্যক্তিগত ৩৩ রানে আউট হয়েছেন ইস সোধিকে লং অফ দিয়ে উড়িয়ে মারতে গিয়ে। এই ইনিংস খেলার পথে ৪টি চার মেরেছেন বাঁহাতি এই ব্যাটার।
ইস সোধির দ্বিতীয় শিকার হয়ে ফিরে গেছেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। আগের ম্যাচে দারুণ খেলা ইয়াসির আলী রাব্বি এদিন উইকেটে থিতু হতে পারেননি। ব্রেসওয়েলকে লং অন দিয়ে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ৯ বলে ৭ রান করে
ফিরেছেন রাব্বি। তিনি ক্যাচ দিয়েছেন মিলনেকে। একপ্রান্ত আগলে রেখে দারুণ খেলতে থাকলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি আফিফ। তিনি ২৬ বলে ২৪ রান করে বোল্টের বলে বোল্ড হয়েছে। ব্যাটিং অর্ডার বদলে এদিন ৭ নম্বরে
নেমেছিলেন সাকিব। ১৬ বলে ১৬ রান করে তিনি সাউদির বলে গাপটিলের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন। শেষদিকে তাসকিন আহমেদ টপ এজ হয়ে বোল্টের বলে চ্যাপম্যানকে ক্যাচ
দিয়েছেন। একপ্রান্ত ধরে রেখে সোহান মাত্র ১২ বলে ২৫ রানের ইনিংস খেলেছেন। এই ইনিংস খেলার পথে সোহান দুটি ছক্কা ও একটি চার মেরেছেন। ১ বলে ১ রান করে অপরাজিত ছিলেন হাসান মাহমুদ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
বাংলাদেশ- ১৩৭/৮ (২০ ওভার) (শান্ত ৩৩, লিটন ১৫, আফিফ ২৬, সাকিব ১৬, সোহান ২৫*)