টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ দলের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয় ভারতীয় কোচ শ্রীধরন শ্রীরামকে। তবে কাগজে-কলমে পরামর্শক হলেও বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দলের
শেষ কথা বলতেই এখন তিনি। রাসেল ডমিঙ্গোর স্থলাভিষিক্ত হিসেবে টিম টাইগার্সের টি-টোয়েন্টির দায়িত্ব নিয়েই নতুন এক ধারণা এনে দিতে চেয়েছেন শ্রীরাম। ‘ক্রিকেটারদের কাছ থেকে পারফরম্যান্স চান না,
দলের কাছ থেকে চাইছেন ইম্প্যাক্ট’-ভারতীয় কোচের এমন কথায় শোরগোল পড়ে গিয়েছিল।তবে শ্রীরামের অধীনে এশিয়া কাপ ও চলমান ত্রিদেশীয় সিরিজে দলের শ্রীবৃদ্ধি ঘটেনি।
মাঝে দুর্বল প্রতিপক্ষ আরব আমিরাতের বিপক্ষে সিরিজ জয় ছাড়া। তবে বাংলাদেশ ক্রিকেটের কর্তাব্যক্তিরা আরও সময় নিতে চান। যেমন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন জানিয়েছেন,
তাদের ভাবনায় দুই বছর পরের বিশ্বকাপ। যাই হোক, শ্রীরামের অধীনে দলের কতটুকু শ্রী বৃদ্ধি ঘটবে, সেটা সময়ই বলে দেবে। তার আগে চলুন জেনে নেয়া যাক, কত টাকা পারিশ্রমিকে
বাংলাদেশে এসেছেন তিনি। জানা গেছে, দৈনিক হিসেবে শ্রীরামকে নিযুক্ত করেছে বিসিবি। অর্থাৎ তিনি পারিশ্রমিক পাবেন দিন ভিত্তিতে। শ্রীরামের সঙ্গে বাংলাদেশের চুক্তি দুই মাস ১৫ দিনের। তবে
ধারণা করা হচ্ছে, আসন্ন বিশ্বকাপের পরও তার চুক্তি নবায়ন করা হতে পারে। ভারতীয় এ কোচ প্রতিদিন ৭০০ ডলার করে অর্থাৎ বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৭০ হাজার
টাকা করে বেতন পাচ্ছেন। তবে যেসব দিনে ছুটিতে থাকবেন তিনি, সেসব দিনে কোনো পারিশ্রমিক পাবেন না এই ভারতীয়। এরই মধ্যে ১০ দিন ছুটি কাটিয়েছেন তিনি। মূলত তাকে নিয়ে
আসা হয়েছে আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য ফাইনাল পর্যন্ত হিসেব করে। সেই হিসেবে তার আয়ের পরিমাণ হবে ৫২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। শ্রীরামই প্রথম নন যার সঙ্গে বাংলাদেশ
দৈনিক ভিত্তিতে চুক্তি করল, এর আগে বাংলাদেশ এরকম দৈনিক ভিত্তিতে চুক্তি করেছিল নিউজিল্যান্ডের কিংবদন্তি ড্যানিয়েল ভেট্টোরির সঙ্গেও। তাকে দৈনিক পারিশ্রমিক দেয়া হতো ১০০০ ডলার করে।