২০৯ রানের লক্ষ্য তাড়ায় বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান প্রথম ক্যাচ তোলেন ১১ রানে। গ্লেন ফিলিপসের সৌজন্যে আউট হওয়ার পরিবর্তে বাউন্ডারি পেয়ে যাওয়া সাকিব সেই সুযোগে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের একাদশ ফিফটিটি তুলে
নেন। তবে ৬৭ রানে বদলি ফিল্ডার ব্লেয়ার টিকনার আবারও জীবন দেওয়ার পরও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি সাকিব। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৭০ রান করে সাকিবের আউট হওয়ার আগেই অবশ্য ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে বাংলাদেশ।
এই ইনিংসের মধ্য দিয়ে রিয়াদকে পেছনে ফেলে ছোট ফরম্যাটের এই ক্রিকেটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানের মালিক বনে গেলেন সাকিব। ৭০ রান করার ফলে টি-টোয়েন্টিতে এই মুহূর্তে দেশের হয়ে সর্বোচ্চ রান, সর্বোচ্চ উইকেট, এবং সর্বোচ্চ
অর্ধশতকের একক মালিক সাকিব। পরিসংখ্যান জানাচ্ছে, সাকিব টি-টোয়েন্টিতে ম্যাচ খেলেছেন ১০৩টি, রান করেছেন ২১৩১, বল খেলেছেন ১৭৫৩টি। স্ট্রাইকরেট ১২১.৫৬ এবং ব্যাটিং গড় ২৩.৪২। ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি সাকিব উইকেট নিয়েছেন ১২২টি, ইকোনমি ৬.৭১ বল
করে। দলের হয়ে সর্বোচ্চ টি-টোয়েন্টিতে ১১টি অর্ধ-শতক এই অলরাউন্ডারের। এছাড়া টি-টোয়েন্টিতে রানের দিক থেকে সাকিবের ঠিক পেছনেই রয়েছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ২১২১ রান করে, খেলেছেন ১৮১০ বল। ম্যাচ খেলেছেন ১২১টি, স্ট্রাইকরেট ১১৭.১৮, গড় ২৩.৫৭। রিয়াদের অর্ধ-শতক
টি-টোয়েন্টিতে ৬টি। টাইগারদের টি-টোয়েন্টি দলের সাবেক ওপেনার তামিম ইকবালের রান টি-টোয়েন্টিতে ১৭৫৮, বল মোকাবেলা করেছেন ১৫০০টি। ১১৭ স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করে, গড় ২৪.০৮, অর্ধ-শতক করেছেন ৭টি।
সাবেক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম করেছেন ১৫০০ রান, ১৩০৫ বল খেলে। অর্ধ-শতক করেছেন ৬টি। গড় ১৯.২৩, স্ট্রাইকরেট ১১৪.৯৪। লিটন দাস এই ফরম্যাটে ৫৮ ম্যাচ খেলে করেছেন ১১৬৯ রান, বল খেলেছেন ৯৩০টি। অর্ধ-শতক ৬টি।