শেষ ওভারে ৮ রানের সমীকরণে সাইফউদ্দিনের হাতে বল তুলে দেন সাকিব। তার প্রথম ৩ বল থেকে ৫ রান তুলেছেন নাওয়াজ ও আসিফ। পরের বলেও এসেছে ২ রান। শেষ ২ বলে ১ রানের সমীকরণে থাকতে
ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্ট দিয়ে চার মেরে পাকিস্তানকে ৭ উইকেটের জয় এনে দেন নাওয়াজ। ১ ছক্কা ও ৫ চারে ২০ বলে ৪৫ রানে অপরাজিত থেকে দারুণ ম্যাচ উইনিং ইনিংস খেললেন নাওয়াজ। ২ বলে ২ রানে অন্য প্রান্তে অপরাজিত আসিফ আলী।
এই হারের মধ্য দিয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজ কোনো জয় ছাড়াই শেষ করল বাংলাদেশ। ৪ ম্যাচের সবগুলোই হেরেছে বাংলাদেশ। অন্যদিকে জয় তুলে নিয়ে কাল ফাইনালে নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হওয়ার আত্মবিশ্বাস
তুলে নিল পাকিস্তান। পাকিস্তানের লক্ষ্য ছিল ১৭৪ রান। বোলিংয়ে ভালো শুরু করে বাংলাদেশ। হাসান মাহমুদ আর তাসকিন আহমেদ প্রথম দুই ওভারে দেন ৩ করে মাত্র ৬ রান।
তৃতীয় ওভারে শরিফুল এক বাউন্ডারি হজম করলেও ৭ রানের বেশি খরচ করেনি। তবে চতুর্থ ওভারে হাত খোলেন বাবর আজম। তাসকিনকে টানা দুই বাউন্ডারি হাঁকিয়ে চাপ কমান পাকিস্তান অধিনায়ক।
পরের ওভারে হাসান মাহমুদকেও জোড়া চার হাঁকান বাবর। ষষ্ঠ ওভারে বল হাতে নিয়ে বাবর-রিজওয়ানের দুই বাউন্ডারিসহ ১১ রান হজম করেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। পাওয়ার প্লেতে
বিনা উইকেটে ৪৬ রান তোলে পাকিস্তান। বাবর আজম আর মোহাম্মদ রিজওয়ানকে এরপরও হাত খুলে খেলতে দেননি সাকিব-শরিফুলরা। ১০ ওভারে মাত্র ৭৩ তুলতে
পারে পাকিস্তান। পাকিস্তানের রান তাড়ায় চাপ বাড়ছিল ক্রমশ। শেষ ১০ ওভারে ১০১ রান দরকার পড়ে তাদের। সেই চাপ কমাতেই ঝুঁকি নিয়ে ছক্কা হাঁকাতে যান মোহাম্মদ রিজওয়ান। কিন্তু ফাইন লেগে একদম
সহজ ক্যাচ ফেলে দেন সাইফউদ্দিন। পরের ওভারে বল হাতে নিয়ে ‘নো’সহ তিনি দেন ১৯ রান। তাতেই পাকিস্তানের চাপ কমে যায় অনেকটা। তবে পরের ওভারে হাসান মাহমুদ জোড়া উইকেট তুলে
নিয়ে ফের বাংলাদেশকে ম্যাচে ফেরান। ৪০ বলে বাউন্ডারিতে ৫৫ করে ডিপ কভারে ক্যাচ হন পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর। এর এক বল পর দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে হায়দার আলিকে বোল্ড করেন হাসান।
৩৩ রানে জীবন পাওয়া রিজওয়ান ৪২ বলে পূরণ করেন ফিফটি। শেষ দুই ওভারে ১৪ রান দরকার পড়ে পাকিস্তানের। ১৯তম ওভারে সৌম্য সরকার আউট করেন রিজওয়ানকে (৫৬ বলে ৪ বাউন্ডারিতে ৬৯)। কিন্তু ততক্ষণে ম্যাচ বলতে গেলে শেষ।
এর আগে লিটন দাস আর অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের জোড়া ফিফটিতে ভর করে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৬ উইকেটে ১৭৩ রানের সংগ্রহ দাঁড় করে টাইগাররা।