ত্রিদেশীয় সিরিজের শেষ ম্যাচে আজ পাকিস্তানের কাছে ৭ উইকেটে হেরেছে বাংলাদেশ দল। ব্যাটিংয়ে ভালো করলেও বোলিংয়ে সুবিধা করে উঠতে পারেনি সাকিব আল হাসানের দল। তবে
অধিনায়ক সাকিব বলছেন বিশ্বকাপ দলে কারা খেলবেন সেটা পরিস্কার হয়েছে এ সিরিজের মাধ্যমে। পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ হারের পর কথা বলেছেন অধিনায়ক সাকিব। এ ম্যাচে
ব্যাটিংয়ে অল্প কিছু রান কম হওয়ার কথাও বলেছেন তিনি। টুর্নামেন্টের মাধ্যমে অনেক উন্নতি হয়েছে বলেও জানালেন টাইগার এই অধিনায়ক। তার অভিমত, এ সিরিজে
ইতিবাচক দিক আছে অনেক। সাকিবের ভাষ্য, ‘এটা কঠিন ছিল, কিন্তু আমার মনে হয়েছে, আমরা আজ আমাদের সেরা ক্রিকেট খেলেছি। শেষ পর্যন্ত আরও কিছু রান করতে পারতাম, কিন্তু এমন ঘটনা ঘটেই থাকে। আমরা মাঝের ওভারগুলোয়
ভালো খেলেছি যার অভাব ছিল আমাদের। যদি ইনিংসের শুরুতে আমাদের বলা হতো আমরা ১৭৩ রান করব, তাহলে আমি আনন্দের সাথে তা গ্রহণ করতাম।’বিশ্বকাপের
ঠিক আগে এই সিরিজে চার ম্যাচে চার ওপেনিং জুটি খেলিয়েছে বাংলাদেশ। বোলিং লাইনআপেও ছিল বিস্তর পরীক্ষা-নিরীক্ষা। তবে এর মাধ্যমে বিশ্বকাপের দলটাও মনে মনে
দাঁড় করিয়ে ফেলেছে বাংলাদেশ। ত্রিদেশীয় সিরিজ থেকে এই দিকটাকে ইতিবাচকভাবে দেখছেন তিনি। সাকিব জানালেন, ‘আমরা বিশ্বকাপে যে দল খেলবো সে বিষয়ে আমরা খুব পরিষ্কার,
তাই এটা ভালো। আমার কাজ হলো দলের জন্য রান করা, বোলিংটা ভালো হয়নি, যদিও আমি উন্নতি করতে চাই। টুর্নামেন্টের মাধ্যমে আমরা অনেক উন্নতি করেছি
এবং এটি আমাদের জন্য ইতিবাচক কিছু।’পাকিস্তানের হয়ে দারুণ ব্যাট করা মোহাম্মদ রিজওয়ান হয়েছেন ম্যাচসেরা। আর পুরস্কার গ্রহণ করতে গিয়ে বাংলাদেশ দলকে ভাসিয়েছেন প্রশংসার জোয়ারে। এ ব্যাটার বলেন, ‘এটা বাংলাদেশের
বোলারদের কৃতিত্ব, তারা সত্যিই দুর্দান্ত বোলিং করেছে। তাড়া করার ক্ষেত্রে শুরুটা গুরুত্বপূর্ণ, তাই আমরা শেষ ১০ ওভারের জন্য উইকেট ধরে রাখতে চেয়েছিলাম। এই পিচে তার ইনিংসের জন্য নওয়াজকে
কৃতিত্ব। নওয়াজের ইনিংসটা ছিল অসাধারণ।’ রিজওয়ান যোগ করেন, ‘এটা রান তাড়া করাটা কঠিন ছিল। দিনশেষে এটা দলীয় খেলা, আমরা পাওয়ার-হিটারদেরকে অর্ডারের নিচের দিকে রাখি, যে কারণে আমরা উইকেট
ধরে রাখতে চাই। আমরা যখন খেলতে যাই তখন আমি এবং বাবর সবসময় কন্ডিশনের কথা মাথায় রাখি। আমরা কঠোর পরিশ্রম করব এবং আশা করি ফলাফল আসবে।’